রাজধানী ডেমরা থানার অন্তর্ভুক্ত ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডে শান্তিবাগ এলাকার পাড়া ডইগার, মৌজাঃ এস,এ খতিয়ান নং – ৭২ এস,এ দাগ নং-১২৪৮ অর্পিত সম্পত্তির ভূমি/জমি
উক্ত জমি, রাজউকে কর্মকর্তা রমজান আলী মক্ষতার অপব্যবহার করে জোর পূর্বক দখল করে, এবং সেখানে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রমজান আলী মাস্টার, পিতাঃ মোঃ রুস্তম আলী।
উক্ত রমজান আলী, সরকারি সম্পত্তিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে সেই সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন এবং রমজান আলী মাস্টারকে অবৈধ দখলদার দাবি করে গত ১৪-১১-২০২১ ইং তারিখে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ডেমরা রাজস্ব সার্কেল ঢাকা, একটি নোটিশ প্রদান করেন।
যাহার স্বারক নং-৮৭৯, সচেতন মহলের প্রশ্ন সরকারি খাস জমির উপর রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কিভাবে বহুতল ভবনের নকঁশা অনুমোদন দিয়েছেন?
অন্যদিকে একটি মহল দাবি করছেন রাজউকের দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর কর্মকর্তারা রমজান আলী মাস্টারের পকেটে!
সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গেলে, স্থানীয় এলাকাবাসী জানান যে, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার থাকাকালীন সময়ে তৎকালীন যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি, পলাতক আতিকুর রহমান আতিক ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসর, ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর ছত্রছায়ায় থেকে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি সম্পত্তিতে বহু তল ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বিক্রি করেন রমজান আলী মাস্টার।
উক্ত ভবনের ফ্ল্যাট ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে,প্রতিটি ফ্ল্যাট, সাব রেজিস্ট্রি করে দেওয়া বাবদ তাদের কাছ থেকে অগ্রিম রেজিস্ট্রি খরচ নিয়েছেন কিন্তু নানা টালবাহানার মধ্য দিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন ফ্ল্যাট ক্রেতাকে রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না রমজান আলী মাস্টার।
স্বৈরাচার হাসিনার আমলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৫ নং ওয়ার্ডের পলাতক কাউন্সিলর শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু ও ছাত্রজনতা হত্যার মামলার আসামি পলাতক ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের ভয়-ভীতি দেখানো হতো ফ্ল্যাট ক্রেতাদের, তাই তারা নীরবে জোর জুলুম অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে যার যার অবস্থানে রয়েছেন।
গত ৫ই আগস্টের আগে রমজান আলী মাস্টার ছিলো স্বৈরাচার হাসিনার একনিষ্ঠ গোলাম, হাসিনা পালিয়ে যাবার পরে এখন আবার ভিন্ন চরিত্রের রূপ ধারণ করছেন,বহু বিতর্কিত এই রমজান আলী মাস্টার।
বর্তমানে কয়েকজন স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের নাম বিক্রি করে চলছেন,এর মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ও নবীউল্লাহ নবী সহ কয়েকজনের নাম বিক্রি করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই রমজান আলী ।
শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম বিক্রি করছেন এমন নয়, সে এতটাই চালাক চতুরযে, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের বড় বড় কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের নাম বিক্রি করছেন এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের কাছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ কিংবা নবীউল্লাহ নবীর কোন ছত্রছায়া না থাকলেও বিএনপি নামধারী কিছু নেতাকর্মীরা তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে রমজান আলী মাস্টারের সাথে কথা বললে তিনি জানান ১২৪৮ নং দাগের আমার যে ভবনটি রয়েছে উক্ত ভবনের সব জমি সরকারি না, ভবনের সামনের অংশের তিন শতাংশ জমি সরকারি খাস জমি, উক্ত ৩ শতাংশ জমির দখলদার ছিলো উজ্জ্বল মামুন খান নামক এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নিয়েই এই ভবন নির্মাণ করেছি।
প্রশ্ন হলো জমিটি হল সরকারি কিন্তু লিখিত দিলো অন্য এক ব্যক্তি! সূত্র মতে আরো জানা গেছে, অর্পিত সম্পত্তি গত ২২/২/২০১৬ ইং তারিখে লিজের মাধ্যমে মালিক নিযুক্ত হন, তৎকালীন আওয়ামী দোসর যাত্রাবাড়ী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও যাত্রাবাড়ী থানার ছাত্রজনতা হত্যা মামলার পলাতক আসামি, গাজী সুমন আহমেদ, পিতা মৃত গাজী মোহাম্মদ আলী, যাহার ভিপিসি নং-৯৬৪/৬৭ অন্য একজন হলেন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (তূহিন) পিতা হাজী মোঃ মেহের আলী, যাহার ভিপিসি নং- ৯৬৪/৬৭ তবে এই জমির বৈধতা কতটুকু?
উক্ত রমজান আলী মাস্টার আরও বলেন, তিন শতাংশ জমি ব্যতিত বাকি জমি আমি সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লার কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক নিযুক্ত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সরকারি তিন শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ঢাকা জেলা প্রশাসকের সাথে মামলা চলার একপর্যায়ে আমরা ২০২৪ সালের ডিগ্রী পেয়েছি।
রমজান আলী মাস্টারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি ০৮ বছর আগে সরকারি জমিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে বহুতল ভবনের নঁকশার অনুমোদন পেলেন কি করে?
তিনি উত্তরে জানান রাজউক কর্মকর্তাদের সাথে কথাবার্তা বলেই নঁকশার অনুমোদন নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন,আমার রাজউক অফিসে যাইতে হয় না, রাজউক কর্মকর্তারাই আমার কাছে এসে বসে থাকে! বাংলায় একটি প্রবাদ আছে টাকা থাকলে বাঘের চোখও মেলে।
এই বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর পরিচালক (আইন বিভাগ) চালিত দায়িত্ব কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুল করীম এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান, সরকারি জমির উপর রাজউকে অনুমোদন কিভাবে হয়েছে আমার জানা নাই।
চেয়ারম্যান অথবা পরিচালক পর্যায়ে যারা রয়েছেন তাদের সাথে কথা বললে জানতে পারবেন।