স্বপন মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের তিন সদস্যের হাত-পা কেটে শরীর থেকে আলাদা করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরিষাবাড়ী পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিপুল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিপুল মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫) ও মা আসমা বেগমকে (৬৫) সরিষাবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বিপুল মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন। মুক্তা বেগম ও আসমা বেগম হাত-পায়ে রগকাটা অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা করে। পরে ময়নমসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সীমানার গাছ কাটা কে কেন্দ্র করে বিপুল ও আপেলের মা আনোয়ারা বেগম এর সাথে বিবাদ হয়। এর কিছুক্ষণ পর আপেল বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ডেকে এনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে বিপুল ও তার স্ত্রী উপর হামলা করে। এ সময় বিপুলের ডান হাত ও ডান পা কুপিয়ে কেটে ফেলে এবং তার স্ত্রী মুক্তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল ও বাম পায়ের রগ কেটে ফেলে। এই দেখে বিপুলের মা আছমা বেগম ফিরাতে গেলে তারও একটি হাত ভেঙে ফেলে। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সৌরভ বাবু জানান, আপেলের নেতৃত্বে তার দুই বোন তুহিনা ও শাহানা বেগম এবং দুই ভাগিনা রাব্বি ও জীবনসহ বহিরাগত ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ডেকে এনে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে তাদেরকে নিশংসভাবে হত্যা করে। সম্ভবত এটি তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলেও তিনি জানান।
এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. চাঁদ মিয়া বলেন, ‘বসতভিটার জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ দুই পরিবারের। মুলত এই জের ধরে হতাহতে ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের কয়েকটি টিম কাজ করছে। এঘটনায় অভিযুক্ত আপেলের মা আনোয়ারা বেগমকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে।