1. nazmulsajed@gmail.com : ঢাকা সময় ২৪ : ঢাকা সময় ২৪.কম
  2. info@www.dhakasomoy24.com : ঢাকা সময় ২৪.কম :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ছাত্র নেতা শামীমকে  হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা গোপালপুরে অস্থির খড়ের বাজার, লোকসানের আশংকায় খামারীরা মাত্র ৪০হাজার টাকায় বিক্রি করে ফেলা শিশুটিকে উদ্ধার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ কাউখালীতে কেন্দ্রীয় ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডিং সভাপতি নির্বাচিত হলেন এস এম আহসান কবির মেহেরপুরে ১৩ বছরের স্কুল ছাত্রী ধর্ষক মোশারফ আটক মেহেরপুর আমঝুপিতে হেরোইন-সহ মাদক সেবি আটক-১ কালীগঞ্জে ২৬ এপ্রিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফলকল্পে সভা পাঁচবিবিতে ভূয়া ডিবি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদা দাবি গ্রেফতার-২ পঞ্চগড়ে চীনের উপহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি স্থাপনের দাবিতে আটোয়ারীতে মানববন্ধন

ধনবাড়ীতে বিলুপ্তির পথে বাঁশ ও বেত শিল্প

জহিরুল ইসলাম মিলন (ধনবাড়ী) টাঙ্গাইল
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

জহিরুল ইসলাম মিলন (ধনবাড়ী) টাঙ্গাইল

বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার বাঁশ ও বেত শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ কারণে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বাঁশ-বেতের তৈরি শিল্প আগের মতো আর চোখে পড়ে না। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকা পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সঠিক সময়ে রোপণ, প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বাঁশ ঝাড় উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকা থেকে বাঁশ-বেত নির্ভর শিল্প এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। 

এলাকা সূত্রে জানা যায়, একসময় গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বাঁশের তৈরি অনেক ধরনের হস্ত শিল্প বিক্রি হতো। যেমন কুলা, ডালা, টুপরি, কুড়ি চালুন, তালাই টেমাই, টোপা, ঝাঁটা হোঁচা, মই, মাছ ধরার জোলঙ্গা, পলো, দারকি, ধীল, চাঁই, বানা এবং বিভিন্ন শৌখিন খেলনা সামগ্রী। এ ছাড়া এলাকায় কাঁচা ঘর তৈরিতে বাঁশের খুঁটি, বেড়া, ঘরের দরজা ইত্যাদি উপকরণও ব্যবহার হতো। 

এ বিষয়ে বাঁশের তৈরি শিল্প বিক্রেতা মুশুদ্দি ইউনিয়নের যুপনা খালপারা গ্রামের আলেফ হোসেন বলেন, ‘আগে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র নিজেরা বাড়িতে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেছি, তখন লাভ হতো। কিন্তু এখন তেমন লাভ হয় না। রাত-দিন খেটে যা তৈরি করি হাটবাজারে সে তুলনায় বিক্রি নেই। সরকারি ভাবে কোনো সাহায্যে সহযোগিতাও পাচ্ছি না। অনেক দুঃখ কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। অভাবের তাড়নায় গোত্রের অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছেন। উপযুক্ত কাজ এবং অভিজ্ঞতার অভাবে এখন চা’র দোকান করে কোনরকম বেচে আছি।

কেন্দুয়া বীরতারা গ্রামের জামাল বলেন, ‘পেশা ছেড়ে দিয়ে এখন অটো ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমাদের গোত্রের ২ /৩টি পরিবার ছাড়া সবাই পেশা পরিবর্তন করেছেন। এক সময় পল্লিতে বাঁশ ও বেত ঝাড় থাকায় বাঁশের তৈরি শিল্পের প্রচুর ব্যবহার ছিল। কিন্তু আগের মতো এখন বাঁশ, ঝাড় আর বেত চোখে পড়ে না। এর কারণে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকা শক্তি কুটির শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি নিঃস্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী পরিবারগুলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট